সন্দ্বীপ থেকে ২১ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা একটি স্পিড বোট বিকল হয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা সাগরে ভাসে। পরবর্তীতে ভাসতে ভাসতে বোটটি সীতাকুণ্ড উপকূলে ভিড়ে। বৈরি আবহাওয়ায় তীব্র ঢেউ ও স্রোতের মাঝে স্পিডবোটটি বিকল হয়ে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ভাসতে থাকায় যাত্রীদের মাঝে আতংক দেখা দেয়। পরবর্তীতে ওই স্পিডবোটের কোম্পানিকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে, একইসাথে স্পিড বোট চালকের লাইসেন্স স্থগিতেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে ২১ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিড বোট সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে সীতাকুণ্ডের কুমিরার উদ্দেশে যাত্রা করে। সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিস নামের একটি কোম্পানির মালিকানাধীন স্পিড বোটটি সন্দ্বীপ চ্যানেলের সীতাকুণ্ড অংশে এসে বিকল হয়ে যায়। যাত্রীদের উদ্বৃতি দিয়ে একজন স্থানীয় সাংবাদিক জানান, বিকল হয়ে যাওয়ার পর সাগরের তীব্র ঢেউ ও স্রোতের মাঝে স্পিড বোটটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভাসতে থাকে। ওই সময় বাতাসেরও বেশ বেগ ছিল। ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ভাসতে ভাসতে প্রায় দুই ঘন্টা পর স্পিড বোটটি সীতাকুণ্ডের কুমিরা উপকূলে এসে ভিড়ে।
বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা বলেছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে সাগর ভয়াবহ রকমের উত্তাল। বড় বড় জাহাজও এমন উত্তাল সাগরে চলাচল করতে বেগ পাচ্ছে। মাছ ধরা জাহাজ ও ট্রলার ফিরে চলে এসেছে। এই ধরনের বৈরি আবহাওয়ায় সন্দ্বীপ চ্যানেলে স্পিড বোট চলাচলের কোনো অনুমতি নেই। এরপরও স্পিডবোটটি সন্দ্বীপ থেকে যাত্রী বোঝাই করে সীতাকুণ্ডের পথে যাত্রা করে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
খবর নিয়ে জেনেছি যে, স্পিড বোটের তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় সেটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেটি ভাসতে ভাসতে তীরে এসে ভিড়ে। বিআইডব্লিউটিএ স্পিড বোটের মালিক এবং চালককে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে। একইসাথে চালকের লাইসেন্স স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
