বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় সব প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে সরকারের পদক্ষেপে চোখ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিহত হওয়া এবং সম্পদ ধ্বংসের বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, সব কর্মকাণ্ডের অবশ্যই পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হতে হবে এবং যারা দায়ী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। খবর বিডিনিউজের।
জোসেফ বোরেল বলেন, অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিক ও ছোট্ট শিশুসহ বিক্ষোভকারী ও অন্যদের উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত ও প্রাণঘাতি শক্তিপ্রয়োগের যেসব ঘটনা, সেগুলোর পূর্ণ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। হাজারে হাজারে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা যেন নিশ্চিতভাবে আইনি প্রক্রিয়া পায়। এই সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারের পদক্ষেপে আমরা নিবিড়ভাবে খেয়াল রাখব এবং ইইউ–বাংলাদেশ সম্পর্কের মৌলিক বিষয়াবলিকে মাথায় রেখে আমরা প্রত্যাশা করি, সব ধরনের মানবাধিকারকে পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হবে।
গত ২৭ জুলাই লাওসে আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে বাংলাদেশ সরকারের ‘দেখামাত্র গুলির নীতি’ ঘোষণা এবং বেআইনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে হত্যা, সহিংসতা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার এবং সম্পত্তির ক্ষতিতেও আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, বলেন তিনি।