নির্বাচনে কেউ তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে, রাইফেল নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সকালে এমন বক্তব্য দিলেও বিকেলে সেই বক্তব্য সংশোধন করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বিকেলে তিনি বলেন, আপনারা তলোয়ার-রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ করবেন না। গতকাল সকালে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সংলাপে বসে প্রতিরোধ গড়ার ওই আহ্বান জানান সিইসি। তিনি বলেন, কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকে রাইফেল বা আরেকটি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে। তবে বিকেলে বাংলাদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে সংলাপে বসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, যদিও নির্বাচন এক ধরনের যুদ্ধ। অনেকেই বলছেন, আসেন যুদ্ধের মাঠে আসেন। সেখানে আসলে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে হবে না। আপনাদের জনসমর্থন নিয়ে যুদ্ধ করতে হবে। আপনারা তলোয়ার, রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ করবেন না। আপনাদের জনসমর্থক যারা আছে, তারা আসবে, তারা ব্যালট নিয়ে যুদ্ধ করবে। খবর বাংলানিউজের।
বলার আগেই পদ ছেড়ে দেব : এনডিএমের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন সরকার এলে প্রয়োজনে পদ ছেড়ে দিতেও দ্বিধা করবেন না বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, আমি চাই সমপ্রীতি, রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য ও সুন্দর নির্বাচন। আমাদের দিয়ে না, যে কাউকে দিয়ে করানোর (নির্বাচন) জন্য যদি আমাকে এই পদ ছেড়ে যেতে হয়, আমাকে রিকোয়েস্ট করতে হবে না। রিকোয়েস্ট করার আগেই চলে যেতে পারব। কাজেই এই ভয় যেন বিএনপি বা অন্য কারো মধ্যে না থাকে। এই পদে কিন্তু আমরা আমোদ-ফূর্তি করতে আসি নাই। কঠিন একটি দায়িত্ব নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে এসেছি। কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবেন : কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অপপ্রচার সমানে চলছে। ইভিএম সম্পর্কে বিভ্রান্তি, সংশয় থেকেই যাচ্ছে। আমরা সত্যি উদ্বিগ্ন হচ্ছি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে অনিয়ম, সহিংসতা, ব্যালট পেপার ছিনতাই হলে প্রতিরোধ কতটা সম্ভব হবে। আমাদের প্রত্যাশা, জাতীয় নেতৃবৃন্দ ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নিবিড়ভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা ও মতৈক্য হয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর নিরসন করে আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য অনকূল পরিবেশ ও সমতল ভিত্তি সৃষ্টি করবেন।