দুনিয়ায় টিকে থাকতে হলে অনেক সহ্যশক্তি ও ধৈর্য্য ধরে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। অধৈর্য্য কখনও শান্তির বার্তা দেয় না। পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্র কোন কিছুই নিয়মের বাইরে নয়। জগৎ সংসার রাষ্ট্র সবই নিয়ম নীতিতে আবদ্ধ। সেই ছোট্ট বেলা থেকেই আমাদের বেড়ে ওঠা বাবা মায়ের আদর, শাসন এবং নিয়ম কানুন মেনে।এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরও কঠিন নিয়ম কানুন। আমরা একে একে প্রতিটা ধাপ অতিক্রম করি নিয়ম নীতির ভিত্তিতে। আমাদের শুরু হয় চাকুরী জীবন পাশাপাশি সংসার জীবন। চাকুরী জীবনে কাজের দক্ষতার উপর নিভর্র করেই কিন্তু পদন্নোতি হবে ঠিক তেমনিভাবে সংসার জীবনেও চলে ধাপে ধাপে পরীক্ষা।
মূলত যেকোনো ক্ষেত্রে কাজের দক্ষতা, সততা, আচরণ এবং নম্র ব্যবহার অনেকাংশে উন্নতির শিখরে আরোহণ করতে সাহায্য করে। তেমনিভাবে পরিবারে ও সুন্দর ভাবে বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হয়।শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্য কিংবা উচ্চতর ডিগ্রীর ভারে কেউ–ই আমাকে আপনাকে সম্মান করবে না, আমার আপনার ব্যবহার এবং সুনিপুণ কাজই যোগ্যতার সনদ দেবে।
শুধুমাত্র মুখের ঠুনকো কথা দিয়ে যেমনটি অনেক কিছু আশা করা যায় না ঠিক তেমনি ভাবে অধৈর্য্য হলেও ভালো কিছু আশা করা যায় না।জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে চলে অগ্নিপরীক্ষা। সবকিছু কে সহ্য করে সুন্দর ভাবে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারলেই জীবন ভীষণ রকমের সুন্দর। সততা, ন্যায়পরায়ণতা, কর্মদক্ষতা পাশাপাশি সহনশীলতা অনেকাংশে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে সক্ষম। সুতরাং আমি মনে করি প্রতিটি মানুষকেই সহনশীল হতে হবে তবেই সফলতা নিশ্চিত।