যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে? নিঃসন্দেহে এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নব–নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য বলছেন, আসল প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ইলন মাস্ক। ডেমোক্র্যাটরা তো বটেই, অনেক রিপাবলিকান পর্যন্ত মাস্ককে বলছেন প্রেসিডেন্ট। আর ট্রাম্পকে বলছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। খবর বিডিনিউজের।
বিশেষ করে সরকারি অর্থায়ন বিল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সদ্যই তৈরি হওয়া অচলাবস্থার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ট্রেন্ড হয়েছে প্রেসিডেন্ট মাস্ক শব্দটি। রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন বিলটি গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে পারেনি। সেকারণে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া, অর্থাৎ, শাটডাউন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। দেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়ার পেছনে মুল ভূমিকা ছিল ইলন মাস্কের। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় সরকারের খরচ চালানোর জন্য রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের সম্মতিতে আনা ওই অন্তর্বর্তী বিলে বাগড়া দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। বিলটিতে খুবই ব্যয়বহুল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে স্যোশাল মিডিয়া এক্স– এ প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেছিলেন তিনি। বিলটি যাতে পাস না হয় সেজন্য তিনি কংগ্রেস সদস্যদেরকে হুমকিও দিয়েছিলেন। হাউজ এবং সিনেটের যে সদস্যরা বিলের পক্ষে ভোট দেবেন, তাদেরকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে মাস্ক হুমকি দেন।
ট্রাম্প প্রথমে বিলটিতে রাজি থাকলেও, মাস্কের ঘোর আপত্তির পর তার সুরেই কথা বলেন ট্রাম্পও। সরকারি বিষয়ে ইলন মাস্কের এমন প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ আর ট্রাম্পের তাকে অনুসরণ, রাজনীতিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় উঠে আসাকেই সামনে নিয়ে এসেছে। মাস্ককেই বেশি ক্ষমতাশালী ভাবতে শুরু করেছেন অনেকে। তাই ট্রাম্পের বদলে এখন মাস্ককেই প্রেসিডেন্ট বলে বিদ্রুপ করছেন কংগ্রেস সদস্যরা। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটরা মাস্ককে নিয়ে ব্যঙ্গ করে নানা মন্তব্য করছেন।