সম্প্রতি দেশে ডাকাতির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির প্রবণতা চোখে পড়ার মতো। প্রবাসীদের গাড়িকে টার্গেট করে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হামলা চালাচ্ছে। শুধু প্রবাসীদের নয়, সাধারণ যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহনও ডাকাতির শিকার হচ্ছে। এতে যাত্রীরা যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তেমনি ব্যবসায়ী ও পরিবহন খাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মহাসড়কে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। বিশেষ করে রাতে টহল জোরদার করা জরুরি। সন্দেহভাজন গাড়িগুলোতে তল্লাশি চালাতে হবে এবং ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া, বিমানবন্দরগুলোতে প্রবাসীদের জন্য ‘হেল্প ডেস্ক’ চালুর উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে তারা দেশে আসার পরপরই নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে পারেন। একই সঙ্গে প্রবাসীদের গাড়ির জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, যেমন গাড়ির রুট ট্র্যাকিং, পুলিশের এসকর্ট সুবিধা বা নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে নিরাপত্তা বুথ স্থাপন করা। মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় হতে হবে এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রশাসনের দায়িত্বশীল মনোভাব এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এ সমস্যা মোকাবিলা করা সময়ের দাবি।
তানজিনা আক্তার চৈতি
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
