মধ্যরাতে শীতার্তদের পাশে দূর্বার তারুণ্য

| রবিবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

“কেবল কম্বল নয়, বয়স ভেদে শীতবস্ত্র করবো দান, বেঁচে থাকুক সব প্রাণ”- এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য ‘শীতের আমেজ’ নামক শীতবস্ত্র বিতরণ প্রজেক্ট উদ্বোধন করেছে।

রবিবার মধ্যরাতে নগরীর জামালখানস্থ প্রেস ক্লাবের সামনে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দূর্বার তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু।

এস ময় আশপাশের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বিভিন্ন বয়স ও পেশার শতাধিক মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এই প্রজেক্ট এর বিশেষত্ব হল- বিভিন্ন বয়সের মানুষকে তাদের সাইজ অনুযায়ী শীতের পোশাক দেয়া হয়। যা গায়ে জড়িয়ে তারা নিজেদের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালাতে পারবে।

এ সম্পর্কে দেবাশীষ পাল দেবু বলেন, আমাদের যুবলীগের মাননীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান নিখিল ভাইয়ের নির্দেশনায় অনুযায়ী আমরা সবসময়ই মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছি। আমরা চাই তরুণরা সমাজসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক। দূর্বার তারুণ্য বরাবরের মতো এবারও ভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করায় তাদের স্বাগত জানাতেই আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি।

সমাজের প্রতিটা স্তরের মানুষের উচিৎ এই তীব্র শীতে মানুষের পাশে থাকা। আমাদের এই উদ্যোগ কেবল একটি পথ দেখিয়ে দেয়া মাত্র। পুরো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যখন এগিয়ে আসবে, তখনই আমাদের এই উদ্যোগ সফল হবে।

প্রজেক্ট নিয়ে দূর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, আমরা সবাই মোটামুটি শীতে কম্বল দিয়ে থাকি। তারা অবশ্য ই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু বিকাল থেকে ঠান্ডা হাওয়া ইদানীংকালে বইতে শুরু করেছে। খেটে খাওয়া মানুষদের এখন শীত নিবারন করা প্রয়োজন, তার সাথে সেই শীতবস্ত্র দিয়ে তারা যেন নিজেদের কাজকর্ম চালাতে পারে সে বিষয়ও নিশ্চিত করা দরকার।

আমরা এই প্রজেক্টটি শীত যতদিন আছে, ততদিনই চলমান রাখব। কম্বল থেকে শুরু করে শীতের যত পোশাক আছে, সবই এই প্রজেক্ট দিয়ে আমরা ঐ রাস্তার মানুষগুলোর জন্য উপহার হিসেবে নিয়ে যাবো।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাজমুল হুদা,জিহাদুল ইসলাম, মারুফ উল ইসলাম, বিভূ দেবনাথ, মোঃ আরাফাত, রবিউল ইসলাম, এইচ এম মোবারক, মোঃ আলাউদ্দিন কামরুল ইসলাম, মোঃ শোয়েব, রিয়াদ, মুশফিকুর রহমান অপুসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকাদশে ভর্তি : দ্বিতীয় আবেদনে চাই বাড়তি সতর্কতা
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বতানের কৃতী সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান