পটিয়া পৌর সদরের বাইপাস সড়কের ইন্দ্রপুল ব্রিজের নিচ থেকে জসিম উদ্দিন (৪২) নামে এক মাইক্রো চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। এসময় তার হাতের মুঠোয় একটি ১০ টাকার নোট পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পেশায় হাইয়েস চালক জসিম পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আল্লাই গ্রামের মৃত ইলিয়াছের পুত্র।
প্রতিবেশী ইকবাল জানান, কিছুদিন আগে জসিমের সঙ্গে মিলে আমি একটি মাইক্রোবাস কিনি। জসিম গাড়িটি ভাড়ায় চালায়। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে গাড়িটি পার্কিংয়ে রেখে সে চলে যায়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরে বুধবার বিকেলে পৌর সদরের ইন্দ্রপুল ব্রিজের নিচে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে এবং লাশ জসিমের বলে তার স্বজনরা সনাক্ত করেন।
নিহতের ছোট ভাই মো. আমজাদ জানান, আমার ভাই মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। তাকে মঙ্গলবার রাত থেকে খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিকেলে জানতে পারি খালের পাড়ে একটি লাশ পাওয়া গেছে। গিয়ে দেখি সেটি আমার ভাই জসিম। আমরা ধারণা করছি তাকে হত্যা করে ব্রিজের ওপর থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তার হাতের মুঠোয় একটি ১০ টাকার নোট পাওয়া যায়। হয়তো সে মেডিকেলের সামনে গাড়িটি পার্কিংয়ে রেখে সিএনজি যোগে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি টেঙিতে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। টাকাটি নিয়েছিল ভাড়া দেয়ার জন্য। সেখানে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে হয়তো ছিনতাইকরীরা তাকে মারধর করে ব্রিজের নিচে ফেলে দিতে পারে। এমন ধরণার কথা বলছেন উপস্থিত স্থানীয়রা।
তারা আরো জানান, পটিয়ার কমলমুন্সির হাট থেকে শান্তির হাট ও ক্রসিং পর্যন্ত সিএনজি টেঙি কেন্দ্রিক একটি ছিনতাইকারী চক্র রয়েছে। যারা চালকের আড়ালে গাড়িতে তোলে যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। ইতিমধ্যে গত কয়েক বছর ধরে সিএনজি টেঙিতে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মুহাম্মদ নাজমুন নুর বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড নাকি দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠান হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।