থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ফেউ থাই পার্টির নেতা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। থাই রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নিয়োগ নিশ্চিত করার পর গত রোববার শপথ নেন তিনি। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বিতর্কিত সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিনের মেয়ে। বয়সের দিক থেকে তিনিই দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। খবর বাংলানিউজের।
গত শুক্রবার থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পেতংতার্ন। তিনি থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী এবং সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হলেন। এর আগে ফেউ থাই পার্টির আরেক নেতা স্রেথা থাভিসিন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত একজন আইনজীবীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ মাথায় নিয়ে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। বুধবার থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করেন। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভাও ভেঙে দেওয়ার রায় দেন আদালত। পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়ে। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৫টি ভোট। পেতংতার্ন হলেন গত দুই দশকে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া চতুর্থ ব্যক্তি। থাইল্যান্ডের স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পেতংতার্ন ২০২২ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এর আগে তিনি পারিবারিক হোটেল ব্যবসা দেখভাল করতেন। তার স্বামী ওই শিল্প গোষ্ঠীর উপ–প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।