টানা তিন দিন পর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছেদ ঘটল দেশের অন্যতম পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। গতকাল বৃহস্পতিবার সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনও। আগের দিনের চেয়ে ৪১ পয়েন্ট কমে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সূচক দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৯৭। লেনদেন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। টানা তিন দিন বৃদ্ধির পর গত বুধবার প্রধান সূচক ডিএসইক্স দাঁড়িয়েছিল ৫ হাজার ২৩৮ পয়েন্ট। সে দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৭৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন, বীমা, ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ডসহ প্রকৌশল খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দরে পতনের কারণেই মূলত গতকাল বৃহস্পতিবার সূচক পড়ে যায়। এ দিন সকালে লেনদেন অবশ্য উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শুরু হয়েছিল। কিন্তু বেশি সময় থাকেনি; ঘণ্টা দেড়েক পর থেকেই সূচক পড়তে থাকে। টানা তিন দিন পর সূচক পড়ে যাওয়ার ঘটনাকে মনস্তাত্ত্বিক চাপ হিসেবে দেখছেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, বাজারে মূল সমস্যা হলো আস্থার সংকট। এটি এখনো ফিরে আসেনি। যাদের এই বিষয়ে কাজ করার কথা, তারা কতটা আস্থার, তাও বিবেচনায় নিতে হয়। বিনিয়োগকারীরা তো একেক সময় একেক ধরনের কথা শুনছেন। তাই ভালো খবর না থাকায় মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয় ঘটছে।
বৃহস্পতিবার লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩০৮টির শেয়ার দর কমে যায় ডিএসইতে। দর বাড়ে ৪২টির। ৩৮টির দর ছিল অপরিবর্তিত। লেনদেন তথ্য অনুযায়ী, আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমে ৫০ কোটি টাকায় দাঁড়ালেও বৃহস্পতিবারও প্রথম অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। এরপর ছিল ব্যাংক খাত। দিন শেষে ডিএসইতে শীর্ষ দর বৃদ্ধি কোম্পানির তালিকায় উঠে আসে স্টাইল ক্রাফট। এর পরে ছিল মুন্নু সিরামিক, ড্রাগন সোয়েটার, ওরিওন ইনফিউশন ও ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস।