আজাদীর সাথে আমার সখ্য সেই জন্মলগ্ন থেকে। খুব ছোট বেলা থেকে পরিবারের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক আজাদী। খুঁটে খুঁটে পত্রিকার সব খবর একরকম মুখস্থ করেই ছাড়তেন বাবা। পড়ার টেবিলে রেখে বলতেন সব ভাইবোন পড়বে। পত্রিকা পড়লে ব্রেন খুলে। সেই থেকে পত্রিকাটি আমার মন কাড়ে। আমার বেড়ে উঠার সাথে সাথে পত্রিকার নাম যশ ছড়িয়ে পড়ে দেশ থেকে দেশান্তরে। সেই ছোট বেলা থেকে লেখালেখি ও বই পড়ার অভ্যাস আমার। মায়ের বইয়ের প্রতি বেশ ঝোক সেই সুবাদে বই ও পত্রিকা হয়ে উঠে পড়ার ফাকে নিজস্বতা ও বিনোদন। বড় হবার পরে মন আরো অনেক কিছু দেখে ও শিখে। একদিন হঠাৎ বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক আজাদীতে নিজের লেখা দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ি। বার বার পড়ি ও দেখি কোনো ভুল কিছু দেখিনি তো! সেদিনের পর থেকে নিজেকে আজাদী পরিবারের একজন ভাবতে ভালো লাগে। আজাদীর ৬২ তম বর্ষে পদার্পণে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।