নগরীর কোর্ট হিলের জহুর হকার মার্কেটের পাশের সরু রাস্তার পাশ থেকে এবার ছয় অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে তাদের স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এতে সরকারের ৮.৫১ শতক জায়গা দখলমুক্ত হয়েছে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কোর্ট হিলের প্রধান প্রবেশ পথের পাশ থেকে আরো ১৭ জন অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়। গুড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের স্থাপনা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কোতোয়ালী থানার আন্দরকিল্লা মৌজার বিএস ১ নং খাস খতিয়ানের ৩০৩০ দাগের ৮.৫১ শতক জমি খাস জমি। এটি সরকারের। এতোদিন অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করছিলেন উচ্ছেদকৃতরা। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেয়ে আজকে (গতকাল) তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাদের স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত জায়গা জেলা প্রশাসকের পরিকল্পনায় জনসাধারণের চলাচলের পথ প্রশস্তকরণে ব্যবহৃত হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নগরের কোতোয়ালী থানাধীন আন্দরকিল্লা মৌজায় অবস্থিত পরীর পাহাড়ে (কোর্ট হিল) বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ প্রায় ৩০টি সরকারি অফিস এবং আদালত রয়েছে। উক্ত আদালত ও অফিসসমূহে প্রায় ৩০০০ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারী ও বিচারক, আট হাজার আইনজীবী এবং পাঁচ হাজার শিক্ষানবীশ আইনজীবী দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এখানে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার লোক সরকারি সেবা নিতে ও বিচারের প্রত্যাশায় যাতায়াত করে। এতো বিপুল সংখ্যক লোকজনের যাতায়াতে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এমনকি মুমূর্ষু অসুস্থ কোনো লোককেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় উচ্ছেদের ফলে যাতায়াতে ভোগান্তি কমে আসবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অভিযানে অভিযানে সিএমপির ৩০ জন পুলিশ সদস্য, পিডিবির প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের সদস্যরা হাজির থেকে সহায়তা করেন।