গুমের শিকার ব্যক্তিদের সম্ভাব্য ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে। গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের সম্ভাব্য ৪ ধরণের পরিণতি হয়েছে। এগুলো হলো–
১. গুমের শিকার ব্যক্তিকে হত্যা করা। ২. বিচারের আগেই মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে জঙ্গি তকমা দিয়ে বাংলাদেশেই বিচারাধীন বা নতুন ফৌজদারী মামলায় গ্রেফতার দেখানো। ৩. তাকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে সে দেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করা। ৪. ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে, অল্প সংখ্যক ক্ষেত্রে মামলা না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া।
গুম কমিশনের ২য় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর, দুপুরে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
গুম কমিশনের সভাপতি বলেন, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত দমন নীতির অংশ হিসেবে গুমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।