গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ডাক দিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে সই করেছেন মার্কিন সংস্থাটির ১ হাজার ২৯ কর্মকর্তা। গাজায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ডাক দিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়ে একটি খোলা চিঠিতে সই করেছেন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মার্কিন সংস্থা ‘ইউএসএইড’–এর এক হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দৃঢ় সমর্থন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে অসন্তোষের সর্বসামপ্রতিক লক্ষণ চিঠি। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ইসরায়েলকে হামলা থামানো অর্থাৎ, যুদ্ধবিরতি করার ডাক দেওয়ার জন্য আরব, ফিলিস্তিনি নেতা ও অন্যান্যদের জানানো আহ্বান ওয়াশিংটন আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর বিডিনিউজের।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত পাঁচ নভেম্বরে মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকার সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান নাকচ করেন। তার মতে, যুদ্ধবিরতি হলে গাজায় হামাস আবার সুসংগঠিত হয়ে আরও হামলা চালানোর সুযোগ পেয়ে যাবে। ওয়াশিংটন কেবল গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে দেওয়া এবং সেখানকার মানুষদের সরে যেতে দেওয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে লড়াইয়ে বিরতি দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছিল।
এ বিষয়েই কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে ব্লিনকেন ওই অঞ্চল সফর করেন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ইসরায়েল গাজার উত্তরাঞ্চলে স্থানীয়ভাবে লড়াইয়ে দৈনিক চার ঘণ্টার বিরতি দিতে রাজি হয়েছে। তবে এটি যে যুদ্ধবিরতি নয়, বরং সাময়িক মানবিক বিরতি, সেটি ইসরায়েল স্পষ্ট করেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের হামলায় গাজায় যেভাবে মানুষ মরছে, হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ এবং গির্জা ধ্বংস হচ্ছে, সেটিকে ইসরায়েলে নিরাপত্তা ফেরানোর অজুহাত হিসাবে মেনে নেওয়া যায় না।
ইউএসএইড এর কর্মকর্তাদের সই করা খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য এবং মানবিক সহায়তা পেশায় নিয়োজিত থাকায় আমরা অহরহ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং হতাশ, সেই আইন যার লক্ষ্য বেসামরিক নাগরিক, চিকিৎসাকর্মী এবং গণমাধ্যমের কর্মকর্তার পাশাপাশি স্কুল, হাসপাতাল এবং ধর্মীয় উপাসনাগার সবকিছুই সুরক্ষিত রাখা।
চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছিল ২ নভেম্বরে। সেটিতে এখন সই পড়েছে ইউএসএইড এর ১ হাজার ২৯ জন স্টাফের। সই যারা করেছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে দেখা গেছে, চিঠিতে সই করেছেন ওয়াশিংটনে সংস্থাটির বিভিন্ন ব্যুরোর কর্মকর্তারা এবং বিশ্বজুড়ে ইউএসএইড এর কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারাও। তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ জানানো হলে ইউএসএইড এর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।