এক ব্যাগ রক্তে স্যালাইন মিশিয়ে ৩ ব্যাগ বানিয়ে বিক্রি করতেন তারা

| সোমবার , ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে ময়মনসিংহের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে রক্ত বিক্রি করে একটি চক্র। যদিও তাদের নেই কোনো সরকারি ট্রেনিং বা লাইসেন্স। চক্রটি রক্তে স্যালাইন মিশিয়ে এক ব্যাগ থেকে দুই বা তিন ব্যাগে পরিণত করতেন। এরপর ভুয়া ক্রসম্যাচিং রিপোর্ট বানিয়ে নিজেরাই রোগীদের শরীরে পুশ করতেন এই ভেজাল রক্ত। এতে রোগীরা সুস্থ হওয়ার বদলে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ত। এমন অভিযোগে গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেনজেলার তারাকান্দা উপজেলার গোয়াইলকান্দি গ্রামের আবদুর রহমান খানের ছেলে মো. নাঈম খান পাঠান (৩৮) ও নগরীর আকুয়া মড়ল বাড়ি এলাকার আব্দুল্লাহ (২২)। দুপুরে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান। খবর বাংলানিউজের।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার ব্লাড ব্যাংক থেকে শনিবার বিকালে কৌশলে এক ব্যাগ ব্লাড (রক্ত) চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় কর্মরত সদস্যরা দুজনকে হাতেনাতে ধরেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে এক ব্যাগ রক্তসহ তাদের দুজনকে হেফাজতে নেয়।

ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, এটি বিশাল একটি চক্র। নগরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তারা মানুষের ক্ষতি করছে। মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে এমন ব্যক্তিদের রক্তও সংগ্রহ করেন তারা। সরকার অনুমোদিত ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত না নিয়ে ভুয়া ব্লাড ব্যাংকের কথা বলে তারা এসব রক্ত বিক্রি করছিলেন। এক ব্যাগ রক্তে স্যালাইন মিশিয়ে তিন ব্যাগ রক্ত বানাতো চক্রটি। এই চক্র নির্মূল করা না গেলে মানুষের জীবনের অনেক ক্ষতি হতে পারে। চক্রটির বাকি সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীর খানখানাবাদে আগুনে পুড়ল ৭ দোকান
পরবর্তী নিবন্ধট্রাম্পের শপথগ্রহণ আজ