আতশবাজি ও ফানুস নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারি করে। পরিবেশবাদী ও প্রাণী অধিকার বিষয়ক কয়েকটি সংগঠনের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ বিষয়ে রুল জারি করা হয়।
এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ সাতজনকে প্রতিপক্ষ করা হয়; তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ রফিকুল ইসলাম। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট শেখ রোবাইয়াত ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
শুনানি শেষে রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আইনি বিধিনিষেধের মধ্যেও বিশেষ দিনে আতশবাজির প্রচলন আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া বিস্ফোরক আইন, ১৮৮৪ অনুসারে রঙিন আতশবাজি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আতশবাজি ও ফানুস নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর আইনি পদক্ষেপ ও কার্যকর ভূমিকা না নেওয়ায় হাই কোর্ট রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
গত ১১ জানুয়ারি সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং গণঅধিকার ফাউন্ডেশন আতশবাজি ও ফানুস নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর যথাযথ আইনি পদক্ষেপ ও কার্যকর ভূমিকা চেয়ে রিট আবেদনটি করে।