হাইমচরে পাঠাগার চাই

| বুধবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

চাঁদপুর জেলার আটটি উপজেলার একটি অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক উপজেলা হাইমচর। এটি শিক্ষার দিক থেকে তুলনামূলকভাবে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে পিছিয়ে। অর্ধেকের বেশি ভূমি মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে উপজেলাটি নদী দ্বারা দুটি খণ্ডে বিভক্ত। কিছু মানুষ নদীতে ভেসে উঠা চরাঞ্চলে বসবাস এবং বাকীরা নদীর পূর্ব পাশে অবস্থান করছেন। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলে মহাবিদ্যালয় ০২ টি, উচ্চ বিদ্যালয় ২২ টি, মাদ্রাসা ১৩ টি ও কেজি স্কুল ০৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারপরও এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর। তাই এদেরকে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কিন্তু পুরো উপজেলা জুড়ে সরকারি বা বেসরকারিভাবে নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়তে কোনও পাঠাগার নেই। যেখানে বৃদ্ধ থেকে শিশু প্রত্যেকে পাঠক হিসেবে গড়ে উঠবে। এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভঙ্গুর উপজেলা সমৃদ্ধ করবে। তাছাড়া হাইমচরে বেড়ে চলছে কিশোর গ্যাং ও মাদকাসক্ত। মূল্যবোধ আর সমাজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে, এদের সবাইকে পড়ার অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। তাই অনতিবিলম্বে হাইমচরে একটি কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাগার নির্মাণে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সহযোগিতা কামনা করছি।

মোহাম্মদ আলআমিন

শিক্ষার্থী,

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযতীন্দ্রমোহন বাগচী : রবীন্দ্রযুগের অন্যতম কবি
পরবর্তী নিবন্ধআমার সমাজ আমি সাজাবো