সাতকানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় কিশোরসহ দুইজন নিহতের ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। নিহত কিশোর মো. তাসিফ উদ্দিন ও আবদুস শুক্কুরের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে। গত সোমবার সাতকানিয়ার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে নলুয়ার বোর্ড অফিস কেন্দ্রের বাইরে দায়ের কোপে কিশোর তাসিফ উদ্দিন ও বাজালিয়ায় গুলিতে যুবক আবদুস শুক্কুর নিহত হন।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে খাগরিয়ায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, ছোরা, দা ও লোহার রডসহ জসীম উদ্দিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, সোনাকানিয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মারা এবং ফলাফল পরিবর্তনের অভিযোগে এনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ করেছে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সেলিম উদ্দিন চৌধুরী। বাজালিয়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত আবদুস শুক্কুরের ভগ্নিপতি মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্কুরের লাশ ফটিকছড়িতে দাফন করা হয়েছে। মামলার বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি সাতকানিয়ায় কি জন্য এসেছিলেন জানতে চাইলে মনিরুল জানান, বাজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাপস কান্তি দত্তের পক্ষে গিয়েছিলেন। গত শনিবার রাতে তিনি বাজালিয়ায় যান। এদিকে, নলুয়ায় দায়ের কোপে নিহত কিশোর তাসিফের লাশ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহতের পিতা জসীম উদ্দিন জানান, মামলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল জলিল বলেন, দুইজন নিহতের ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। তাদের পরিবার চাইলে মামলা করতে পারবে। ভোটের দিন বিভিন্ন ইউনিয়নে গোলাগুলির ঘটনায়ও এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলা দায়ের করা হবে। তিনি আরও বলেন, খাগরিয়া থেকে অস্ত্রসহ জসীম উদ্দিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অস্ত্রটি খাগরিয়ায় ভোট কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।