নগরীর লালদীঘির পাড়ে আব্দুল জব্বারের বলী খেলার ১১৩তম আসরকে নির্বিঘ্ন করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। গতকাল সন্ধ্যায় কোতোয়ালী থানায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ ব্রিফিংয়ে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, বলী খেলা উপলক্ষে জমে ওঠা বৈশাখী মেলায় ভাসমান দোকান থেকে চাঁদাবাজি রুখতে মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো পুরো এলাকা থাকবে সিসি ক্যামেরার আওতায়। এছাড়া খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
জসিম উদ্দিন বলেন, বলী খেলার কমিটির সঙ্গে আমাদের একাধিক মিটিং হয়েছে। ফুটপাতে দোকানগুলো বসবে। পিচ ঢালা রাস্তার উপর কোনো পসরা সাজিয়ে বসতে দেওয়া হবে না। মেলাকে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের চঁাঁদাবাজি করতে না পারে সেজন্য মেলা কমিটিসহ আমরা কাজ করছি।
বলী খেলা ঘিরে নগরবাসীর যানজটের সমস্যা হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, শিশু ও বৃদ্ধ সবার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বলী খেলায় নিরাপত্তার জন্য কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, ডিবিসহ সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। মেলার জন্য শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির আজাদীকে বলেন, মেলায় কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। এখানে যেসব দোকান বসেছে সেগুলো সড়কে সরকারি জায়গার উপর বসেছে। সুতরাং দোকান বসানোর নামে কারও কাছ থেকে অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মেলা কমিটির সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম ও কোতোয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চৌধুরী রেজাউল করিম, পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার ও কোতোয়ালী থানার পেট্রল ইন্সপেক্টর শামসুদ্দিন।