মুজিব তুমি জন্মেছিলে বাঙলায়,
পাখির ঝরা পালকে ভর করে
খোলা হাওয়া মুহূর্তে ছড়িয়েছিলে
সারা বাঙলার আনাচে–কানাচে মাঠে।
তুমি ছিলে এঁকে বেঁকে বয়ে যাওয়া নদীর বাঁকে,
তুমি ছিলে বিলে–ঝিলে শাপলা শালুকের ঝাঁকে,
তুমি ছিলে পল্লীবালার কাঁখের কলসিতে,
তুমি আজও আছো এই বাঙলার সবুজ আঁচলের বেদীতে।
বাঙলার নকশিকাঁথার ভাঁজে ভাঁজে,
বিরাজমান তুমি শ্রমিকের ঘামে ভেজা দেহের খাঁজে,
রক্তাক্ত রাজপথে রফিক বরকতের সাথে,
আছো তুমি পত পত শব্দে উড্ডীয়মান
লাল সবুজ পতাকাতে।
তুমি আছো মায়ের ভাষার অজস্র বুলিতে,
তুমি আছো ঠাকুরমার গল্প বলার ঝুলিতে।
আবহমান বাঙলার নিঃশব্দে বয়ে যাওয়া
বাতাসে শুধু তোমার নাম শুনি যেন চিরন্তন রীতি,
আমরা গেয়ে যাই তোমার দূরদর্শিতার, গৌরবের প্রশংসার স্তুতি।
উজাড়করা প্রাণের স্পন্দন তোমার অমর বাণীতে,
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি তোমায় পুষ্পাঞ্জলিতে।
বাঙলা মায়ের প্রতি কৃতার্থ আমরা প্রতিটি সন্তান,
এমন অকুতোভয় সন্তান তার, যে দিয়েছে
আমাদের সম্মান।
শোকরানা জানিয়ে স্মরণ করি স্রষ্টাকে,
যিনি পাঠিয়েছেন বাঙলায় অতি প্রিয় তোমাকে।