সম্প্রতিএকটা অনুষ্ঠান দেখলাম আর টিভিতে ‘গর্বিত বাবা’। বাবা ও ছেলে। বাবা রিকশাওয়ালা ও ছেলে সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। উপস্থাপক বার বার বিভিন্ন ভাবে তাদের কে বাহবা দিচ্ছেন সাথে উপস্থিত দর্শকরা।
এক পর্যায়ে উপস্থাপক প্রশ্ন করলেন – বাবা রিকশাওয়ালা একথা বলতে তোমার খারাপ লাগেনা?
না, আমার বাবা আমাকে সৎ ও সততা শিখিয়েছে। তাই সত্যি কথা বলতে আমার কখনো লজ্জা হয় না বরং আমি গর্বিত যে আমার বাবার উৎসাহে আমি আজ এখানে।
ছেলেটি এখনো আমাদের সমাজের নোংরা চিত্রটা দেখেনি। এক সময় হয়তো ওর ক্লাসে ও হবে শ্রেষ্ঠ ছাত্র। কিছু নোংরা মন মানুষিকতার ক্লাস মেইটরা বলবে – আচ্ছা, এই টা ঐ ছেলে না যার বাপ রিকশা চালায়!
একদিন ডাক্তার হবে। ভালো চিকিৎসা দেওয়ার কারণে চারিদিকে ওর নাম হবে। ডাক্তার অমুক। খুব ভালো চিকিৎসক। চিনেছেন? ঐ যে যার বাবা রিকশা চালাতো। যদি–ও আজকাল আমাদের সন্তানরা অনেক সচেতন ও বাস্তববাদী। এরা চেলেঞ্জ গ্রহণ করে এগিয়ে যায়। ক্লাস মেইট, বন্ধুদের সম্মান করতে জানে। এই ছেলেই প্রকৃত মেধাবী। পয়সাওয়ালা বাবার সন্তানরা নানান সুযোগ সুবিধার মধ্যে বেড়ে উঠে। তাদের জন্য হয়তো মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া বা ডাক্তার হওয়া কোনো ব্যাপার নয়।
চলুন আমরা আমাদের সন্তানদের কেউ সৎ ও সাহসী হতে শেখায়। সন্তানরা যেন তাদের সৎ, রুচিশীল বাবা মায়েদের দেখে গর্ব অনুভব করতে পারে। ওরাইতো সমাজের নোংরা চিত্র পরিবর্তনের কাণ্ডারি। সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে বেড়ে উঠুক আমাদের সন্তানরা।