কবি আল মাহমুদের রচনা সব সময় সামপ্রতিক

ক্বণনের অনুষ্ঠানে বক্তারা

| মঙ্গলবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

কবি আল মাহমুদ বাংলা কবিতায় বাংলাদেশের স্বাতন্ত্রিক বৈশিষ্ট্য রচনায় অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন, প্রতি দশকেই সামপ্রতিক ছিলেন। আধুনিক বাংলা কবিতার শহরমুখী প্রবণতার মধ্যেও ভাটি বাংলার জনজীবন, গ্রামীণ আবহ, নদীনির্ভর জনপদ, চরাঞ্চলের জীবনপ্রবাহ এবং নরনারীর চিরন্তন প্রেম-বিরহ ছন্দের অপূর্ব গাঁথুনিতে আল মাহমুদের কবিতায় যেভাবে এসেছে তা আমরা আর কারো কাছে পাইনি।
গতকাল সোমবার থিয়েটার ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের গ্যালারি হলে ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গনের আয়োজনে বাংলা কবিতার প্রবাদ পুরুষ কবি আল মাহমুদের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণানুষ্ঠানে অতিথি আলোচকরা বক্তারা এসব কথাগুলো বলেন। ক্বণন সভাপতি মোসতাক খন্দকারের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে অতিথি আলোচক ছিলেন কবি ইকবাল করিম রিপন, কবি ও প্রাবন্ধিক মাঈন উদ্দিন জাহেদ এবং কবি সৈয়দ আহমদ শামীম। স্বাগত বক্তব্য দেন, কার্যকরী পরিষদ সদস্য সৌভিক চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদস্য সাইমুম মুরতজা। কবি ইকবাল করিম রিপন বলেন, মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যে কবির কলম থামেনি তিনি আল মাহমুদ। পঞ্চাশের এই কবি পরবর্তী প্রতি দশকেই সামপ্রতিক ছিলেন। প্রাবন্ধিক মাঈন উদ্দিন জাহেদ বলেন, বাংলা কবিতায় বাংলাদেশের স্বাতন্ত্রিক বৈশিষ্ট্য রচনায় আল মাহমুদ অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। যা একাত্তরে এসে রাজনৈতিক পূর্ণতা পেয়েছে। আল মাহমুদ কবিতার পাশাপাশি কথাসাহিত্যেও এ দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জীবন ও সংস্কৃতির স্বাতন্ত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন।
এরপরে ছিল আল মাহমুদের কবিতা নিয়ে একক আবৃত্তি পরিবেশনা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন- রাশেদ মোহাম্মদ, সৌভিক চৌধুরী, শরীফ মাহমুদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, আবসার তানিম, সাইমুম মুরতাজা, হৈমন্তী ধর, রুহুল্লাহ আকমল, মিজানুর রহমান, তমা দাশ, সূচনা দাশ, মুহতারিমা, শুভ্রা চক্রবর্তী, প্রেমা চৌধুরী, জুঁই বিশ্বাস, সুস্মিতা চৌধুরী, সাবিহা শশী, ইব্রহিম মাহমুদ, আবদুল মুনয়িম আসরা ও আকরাম আসিফ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচিটাগাং ক্লাবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন
পরবর্তী নিবন্ধভাষার বিশুদ্ধতা রক্ষায় গুরুত্ব