আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সেতু ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “জনগণ কি চায় শেখ হাসিনা পদত্যাগ করুক? আদালতের আদেশে যে কেয়ারটেকার সরকার কবরে ঘুমিয়ে আছে সেটি কি আর এদেশের জনগণ চায়? তারা (বিএনপি) কেন চায়? আসলে তাদের মুখে মধু অন্তরে বিষ। তারা বলে ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি হবে না। কি সুন্দর কথা। এমনিতে তারা আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে। তারা ক্ষমতায় আসলে বাকিটা এক রাতের মধ্যে সব শেষ করে দেবে।”
আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকীতে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মানুষ খুন-এ তিনটি অপকর্ম বিএনপির গুণ বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি সন্ত্রাসীদের দল। আমরা বলছি না, কানাডার আদালত বলছে। তাদের হাতে রক্তের দাগ। অথচ তারা আজ মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে। মোস্তাক ও জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড করেছে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে বাসায় গিয়ে এসি রুমে ঘুমাচ্ছে, টিভিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা দেশের পতাকাকে ভূলুন্ঠিত করেছে অথচ তারা এখন মানবাধিকারের কথা বলছে। মনে হয় তারা খাঁটি ফেরেস্তা, তাদের মতো ভালো মানুষ এ পৃথিবীতে নেই।”
বিএনপি নেতাদের কোনো ঈমান নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমানুল্লাহ আমান ফলের রস খেয়ে সব ভুলে গেছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসেছেন। গয়েশ্বর কিশোরগঞ্জের কোরাল মাছ খেয়ে খুশি হয়েছে। এমনকি কিছু প্যাকেট বাড়ির জন্যও নিয়ে গেছে। এগুলো ওপেন, ছবি আছে।”
বিএনপি আগামী দিনে চোখে অন্ধকার দেখবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেখলে মনে হবে বিদেশে আছি। শেখ হাসিনা জনগণের প্রতি যে প্রতিজ্ঞা করেন তা রক্ষা করেন। সামনে তারা চোখে অন্ধকার দেখবে। তাদের ভোট দিলে তারা বাংলাদেশকে গিলে খাবে। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বানাবে। তারা আছে সেই ধান্দায়।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা হারলে বাংলাদেশ হেরে যাবে, গরিব মানুষ হেরে যাবে, স্বাধীনতা হেরে যাবে। তাই তাকে বিজয়ী করতে হবে। তিনি হেরে গেলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হেরে যাবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা খালি হাতে লড়ব। তবে আগুন হাতে আসলে আমরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করব।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাধারন সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু।
