‘ভালো থেকো’ বলে নিখোঁজ, কর্ণফুলী থেকে মরদেহ উদ্ধার

বাঁশখালী প্রতি‌নি‌ধি | বৃহস্পতিবার , ১৩ জুলাই, ২০২৩ at ৯:৫৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ গ্রামের কমল কান্তি বড়ুয়ার ছেলে রাজেশ বড়ুয়া চট্টগ্রাম শহরের নন্দনকানন এলাকায় ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট হিসাবে কাজ করতেন।

গত ১০ জুলাই সোমবার সকালে নন্দনকানন ১নং গলি এলাকার ছকিনা ভবনের বাসা থেকে বের হয়ে যান বলে তার স্ত্রী পূজা বড়ুয়া একইদিন কোতোয়ালী থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেন। আর ১১ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের সদরঘাট থানাধীন বাংলাবাজার সাম্পান ঘাটের কর্ণফুলী নদীতে একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ। পরিচয় না পাওয়াতে সেই লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে ছিল।

পরে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।

এদিকে, চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ চট্টগ্রাম অঞ্চল নৌ পুলিশের পুলিশ সুপারকে ১১ জুলাইয়ে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পাওয়ার বিষয়টি অবহিত করেন।

পরে সেই লাশ নিশ্চিত হওয়ার পর স্বজনরা গ্রহণ করে চট্টগ্রামের চাঁন্দগাঁওস্থ সার্বজনীন শ্মশানে দাহ করা হয়।

এদিকে, লাশের পরিচয় পাওয়ার পর থেকে তার মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা।

রাজেশ ১০ জুলাই সকালে নন্দনকানন ১নং গলি এলাকার ছকিনা ভবনের বাসা থেকে বের হয়ে বিকাল ৩টায় স্ত্রী পূজা বড়ুয়াকে ফোন করে ‘ভালো থেকো” বলে ফোন কেটে দেন বলে কোতোয়ালী থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেন।

ডায়েরিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, “আমার স্বামীর অনেক দেনা রহিয়াছে। আমি ধারণা করিতেছি যে, সে দেনাদারদের টাকা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হওয়ায় নিজ থেকে আত্মগোপন করিয়াছে”।

বাঁশখালীর শীলকুপ গ্রামের কমল কান্তি বড়ুয়ার ছেলে রাজেশ বড়ুয়ার সাথে রাঙ্গুনিয়া সৈয়দবাড়ি এলাকার মিটু বড়ুয়া ও চুমকী বড়ুয়ার কন্যা পূজা বড়ুয়াকে বিগত ৫ বছর আগে বিয়ে করলেও তাদের সংসারে কোনো সন্তান ছিল না।

এদিকে, রাজেশ বড়ুয়ার মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে পূজা বড়ুয়ার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তার মা চুমকী বড়ুয়া ফোন রিসিভ করে লাশ সৎকার করা হয়েছে। এটা নিয়ে আর কোনো কথা না বলা ভালো বলে সাংবাদিকদের জানান।

নিহত রাজেশের পিতা চট্টগ্রামের লালদিঘী পাড় এলাকার দন্ত চিকিৎসক কমল বড়ুয়া কীভাবে এ ঘটনা হলো তা বুঝতে না পারার কথা বলে মেয়ের জামাইয়ের হাতে মোবাইল ফোন দিয়ে দেয় কথা বলতে বলেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার কারণে।

তবে তারা প্রশাসনের কাছে এ মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য বের করার আহ্বান জানান।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে এ সংবাদ লেখার আগে নিহত রাজেশ বড়ুয়ার লাশ চট্টগ্রামের চাঁন্দগাঁওস্থ সার্বজনীন শ্মশানে দাহ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ছেলের বিরুদ্ধে বৃদ্ধা মায়ের জিডি
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে মুরগী কিনে বাড়ি ফেরা হলো না মামাতো-ফুফাতো ভাইয়ের