ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২০

বাংলাদেশীদের জন্য হটলাইন খুলেছে কোলকাতার উপ-হাইকমিশন

আজাদী অনলাইন | শনিবার , ৩ জুন, ২০২৩ at ২:৫০ পূর্বাহ্ণ

ভারতে উড়িষ্যার বালেশ্বরে দু’টি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২০ জন হয়েছে; আহত হয়েছে অন্তত ৮৫০ জন।

শুক্রবার রাতের এ দুর্ঘটনায় ট্রেনের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে অনেকে চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সন্ধ্যার এ দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকারী বেশ কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছে। আশেপাশের জেলা থেকেও উদ্ধারকারী দল যুক্ত হয়ে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো শুরু করে বলে জানান কর্মকর্তারা। উদ্ধার কাজে সময় লাগবে বলেও ধারণা তাদের।

দুই দ্রুতগামী যাত্রীবাহী ট্রেনের এ দুর্ঘটনায় আরও একটি মালবাহী ট্রেনও যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

কোলকাতা থেকে চেন্নাইমুখী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে গিয়ে পড়ে। ওই লাইনে হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস সেই সময় সেখানে গিয়ে পৌঁছালে ওই ট্রেনটিরও কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।

দুপুর ৩টার দিকে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে ১২৮৪১ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় বালেশ্বরে। কাছেই বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি।

তৃতীয় একটি ট্রেন যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও এ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে উড়িষ্যার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনার বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি। ট্রেনটি বেঙ্গালুরু থেকে কোলকাতা যাচ্ছিল। লাইনচ্যুত হওয়া বগির সঙ্গে ট্রেনটির ধাক্কা লাগে।

করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আর অপর ট্রেনের ২টি বগি লাইনচ্যুত হয়। মালগাড়ির ৫টি বগিও লাইনচ্যুত হয়েছে।

উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী এক ট্যুইটে লিখেছেন, “অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, আমি শোকাহত”। দুর্ঘটনার খবরে শোকাহত ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটিতে বাংলাদেশীও থাকতে পারে কারণ চিকিৎসার জন্য অনেক বাংলাদেশী যাত্রী এই ট্রেনে কোলকাতা থেকে চেন্নাই যাতায়াত করেন।

এ কারণে কোলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন দুর্ঘটনা বিষয়ক তথ্য জানতে বাংলাদেশীদের জন্য একটি হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বর দিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে প্রতিপ‌ক্ষের হামলায় নিহত ১
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা