বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এবং ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশন প্রাপ্তিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ গতকাল মঙ্গলবার সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তিনি কৃতী ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য একাডেমির কমান্ড্যান্ট, সংশ্লিষ্ট সব অফিসার, জেসিও, এনসিও, সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের ১৮৪ জন অফিসার ক্যাডেট ও ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ২০ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। কমিশনপ্রাপ্ত নবীন সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৮৩ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী রয়েছেন। কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার আজমাইন ইশরাক ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা চৌকস ক্যাডেট হিসেবে গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। পরে প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ নেন। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথি এবং প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের মা–বাবা ও অভিভাবকরা নবীন অফিসারদের র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড; জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অভ্যর্থনা জানান।











