ভারত অনুমতি দেওয়ায় চার দিনের জটিলতা কাটিয়ে বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে ভুটান গেছে ট্রানশিপমেন্ট পণ্য। থাইল্যান্ড থেকে আসা ভুটানের এসব পণ্য ট্রানশিপমেন্ট চুক্তির আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে আসে। সেগুলো ভারতের সড়ক পথ ব্যবহার করে ভুটান পৌঁছানোর কথা। কিন্তু ভারতের অনুমতি না পাওয়ায় শুক্রবার থেকে পণ্যবাহী কনটেইনার বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকে ছিল।
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে কনটেইনারটি চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠানো হয় বলে বুড়িমারী স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার দেলোয়ার হোসেন জানান। তিনি বলেন, ভারতের অনুমতি পাওয়ার পরই ভুটানের জন্য আমদানি করা থাই পণ্যের চালানটি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ভারতীয় ট্রানজিট রুট হয়ে পণ্য ভুটানে পৌঁছাবে। খবর বিডিনিউজের। সিঅ্যান্ডএফ নেতারা জানান, বিকালে কলকাতা কাস্টমস চ্যাংড়াবান্ধা কাস্টমসকে সড়কপথে চালান পাঠানোর অনুমতি দেয়। পরে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশি কাস্টমসকে জানানো হয়। কাগজপত্র যাচাইয়ের পর বেনকো লিমিটেডের সহায়তায় কনটেইনারটি শূন্যরেখা পেরিয়ে ভারতের দিকে যায়।
বুড়িমারী সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বেনকো লিমিটেডের মালিক ফারুক হোসেন বলেন, ভারত ও ভুটানের সরকারি ছুটির কারণে অনুমতি পেতে দেরি হয়েছে। পাশাপাশি বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের চুক্তিতে বুড়িমারী রুট উল্লেখ না থাকায় কিছু জটিলতাও ছিল। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর ভারত অনুমোদন দিয়েছে।










