এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি গঠনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে একই পরিপত্রের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ এবং চলতি বছর ১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার কার্যকারিতা স্থগিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করা এক রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
পরিপত্রটি কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খাকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম। খবর বাসসের।
আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, বেসরকারি স্কুল–কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোয়নের যে বিধান করা হয়েছিল,এটা বৈষম্যমূলক। এ কারণে আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।
নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষান্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০২৪ সংশোধন করে গত ৩১ আগস্ট পরিপত্র জারি করা হয়। এই পরিপত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) জন্য সংরক্ষণ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়। এই পরিপত্রের আলোকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে আরও বলা হয়, সব অ্যাডহক কমিটি চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর বিলুপ্ত হবে। পরে এই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মোকছেদুর রহমান আবির। সে রিটের শুনানি শেষে গতকাল আদেশ দেন হাইকোর্ট।