‘দৌড়াই স্বাস্থ্যের টানে, নিঃশ্বাস হোক তামাকহীন প্রাণে’–এই বার্তা নিয়ে চট্টগ্রামের বায়েজিদ লিংক রোডে অনুষ্ঠিত হলো ‘চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথন ২০২৫’। এই আন্তর্জাতিক আয়োজনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, তরুণ সমাজই আগামীর নেতৃত্ব। তাদের মাঝে যদি আমরা স্বাস্থ্যসচেতনতা, পরিবেশবান্ধব জীবনধারা ও তামাকবিরোধী মানসিকতা গড়ে তুলতে পারি, তাহলে চট্টগ্রাম তো বটেই, পুরো বাংলাদেশই একদিন হবে পরিচ্ছন্ন, সুস্থ ও প্রগতিশীল।
তিনি আরও বলেন, এই ম্যারাথনের মতো আয়োজন কেবল একটি দৌড় নয়; এটি একটি প্রতীক, তরুণদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার, একটি তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের। আমি চাই চট্টগ্রামের প্রতিটি শিক্ষার্থী, যুবক–যুবতী এমন ইতিবাচক উদ্যোগে অংশগ্রহণ করুক এবং নিজ শহরের গর্ব হয়ে উঠুক।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন তার বক্তব্যে চট্টগ্রামকে ‘স্বাস্থ্য ও সচেতন নগরী’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, চসিকের পক্ষ থেকে এমন আয়োজনে সর্বাত্মক সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই সুস্থ চট্টগ্রাম, সচেতন নাগরিক ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যৎ।
তিনি দৌড়বিদদের উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা শুধু একটি দৌড়ে অংশ নেননি, আপনাদের পদচারণা আজ তামাকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এই প্রচারণা চলতে থাকুক, ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি গলি–মহল্লায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। তিনি দৌড়বিদদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শরীর সুস্থ রাখার জন্য অনেকেই দৌড়ান, কিন্তু আপনারা এই আয়োজনের মাধ্যমে সমাজে যে বার্তাটি দিয়েছেন তা অনন্য। সুস্থ, সবল এবং তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে আপনাদের এই বার্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি সামনের দিনগুলোতেও এমন কল্যাণমুখী উদ্যোগ নেয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রায় ১,০০০ জন দেশি–বিদেশি দৌড়বিদ, ক্রীড়াপ্রেমী, স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। ম্যারাথনটি আয়োজন করেছে পিএইচআর কমিউনিকেশন লিমিটেড। ম্যারাথন উপলক্ষ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহায়তায় ওয়ার্ল্ড নো ট্যোবাকো ডে জোন, দেশি–বিদেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস এক্সপো, চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (সেশন স্পিকার) সহকারী অধ্যাপক ডা. আলী আসগর চৌধুরী, সাজিনাজ হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. শফিকুল ইসলাম, সাজিনাজ হসপিটালের ডিরেক্টর ও এইচআরডি হাসান মাহমুদ চৌধুরী, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান, রেজিস্ট্রার এ এফ এম মোদাচ্ছের আলী এবং স্পোর্টস টিচার সাইফুল্লাহ চৌধুরী, এপিক লিমিটেডের ব্র্যান্ড ম্যানেজার সাদ শাহরিয়ার। রেইস ডিরেক্টর হিসাবে ছিলেন এ এস এম মামুনুর রহমান মুন্না।
