নগরের ফইল্ল্যাতলী বাজার এলাকায় মহেশখাল সংলগ্ন একটি সড়কের কিছু অংশ প্রায় এক ফুট গভীরে দেবে গেছে। সড়কটির কয়েক জায়গায় ভেঙেও গেছে। সবমিলিয়ে সড়কটির ১৫০ থেকে ২০০ ফুট ক্ষতি হয়েছে। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত শনিবার হঠাৎ করে সড়কটি দেবে গেছে।
গতকাল দুপুরে খাল পাড় নামে পরিচিত এই সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রকৌশলীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কারের নির্দেশনা দেন।
চসিকের প্রকৌশল বিভাগ এবং স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, সড়কের ঠিক পাশেই রয়েছে মহেশ খাল। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় খালটি গভীরভাবে খনন করা হয়েছে। এসময় খালের পাড়ে থাকা রিটেইনিং ওয়ালের নিচ থেকে মাটি সরে যেতে পারে। এর প্রভাবে দেবে যেতে পারে সড়কটি।
এ বিষয়ে সিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান আজাদীকে বলেন, ২০০৯ সালে মহেশখালে সিটি কর্পোরেশন (চসিক) একটি রিটেইনিং ওয়াল করে। এর পাশের রাস্তাটিও আমরা এবার উনয়ন করেছি। সিডিএ’র মেগা প্রকল্পের আওতায় খালে ড্রেজিং করা হয়েছে। ড্রেজিং করার সময় ওয়ালের নিচের মাটিও চলে গেছে। মাটি সরে যাওয়ায় ওয়ালটি হেলে যায়।
তিনি বলেন, দেয়ালটি প্রায় ১২শ ফুট দীর্ঘ। ড্রেজিংয়ের শুরুতে যখন একটু হেলে যায় তখন বাঁশ দিয়ে একটু ঠিক করে দেয়া হয়েছিল। এখন বৃষ্টি হওয়ার পর সেটি আরো বেশি হেলে পড়েছে। রাস্তাও দেবে গেছে। সড়ক কতটুকু দেবে গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়ালটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে, তবে একটু হেলে গেছে। এ কারণে রাস্তাটাও প্রায় এক ফুট বসে গেছে।
সড়কের দেবে যাওয়া অংশ দৈর্ঘ্য জানতে চাইলে বলেন, ১৫০–২০০ ফুট হতে পারে। কিন্তু যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে এবং ওয়ালটার যে লেন্থে (দৈর্ঘ্য) ড্রেজিং করছে তাতে সন্দেহ করছি, পরবর্তীতে এ ওয়ালটা রাখা যাবে না। পুরো ওয়ালটা নতুন করে করতে হবে।
প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমরা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলেছি। তাদের অনুরোধ করেছি, সেখানে কাজে করার জন্য। ওনারা কাজ করে দিবেন বলে কথা দিয়েছেন।