সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ তৃতীয় দফায় আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের সারা দেশে ১৫ মার্চ থেকে ৬০ দিনের জন্য এই বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে কর্মরত সেনা কর্মকর্তারাও ওই সময়ের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী সেনা কর্মকর্তারা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এসব ধারায় গ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তারের আদেশ, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা, তল্লাশি পরোয়ানা জারি, অসদাচরণ ও ছোটোখাটো অপরাধের জন্য মুচলেকা আদায়, মুচলেকা থেকে অব্যাহতি, বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার ক্ষমতা পাবেন বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। খবর বিডিনিউজের।
একই সঙ্গে স্থাবর সম্পত্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাধা অপসারণ এবং জনগণের ক্ষতির আশঙ্কা করলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারবেন তারা।
ফৌজদারি কার্যবিধির যে ১৭ নম্বর ধারায় সেনা কর্মকর্তাদেরকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেখানে এসব নির্বাহী হাকিমরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অর্থাৎ জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকার কথা বলা আছে।
ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দেশের আইনশৃক্সখলা পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ৬০ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয় সরকার। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে নৌ–বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও এই ক্ষমতা দেওয়া হয়।
এরপর গত ১২ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়ায় সরকার। এ নিয়ে তিন দফায় ৬০ দিন করে সেই ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো হল।
প্রথমবার এই ক্ষমতা দেওয়ার পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর তখনকার জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমান বলেছিলেন, দেশে একটি জনবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।