বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসা শুরু হয়েছে তার। অধ্যাপক প্যাট্রিকের অধীনেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলবে। গত বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলবে।
এর আগে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান বিএনপি প্রধান। সেখানে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। উড়োজাহাজ থেকে নামার পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান। এ সময় যুক্তরাজ্য বিএনপির শীর্ষ নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে ক্লিনিকে নিয়ে যান তারেক রহমান। খবর বাংলানিউজের।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার শরীরের রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার হয়।
পরে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হসপিটালেই লিভার প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেয়। সেই চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে গেলেন। লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলে তিনি যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রেও। এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া।