বায়ালখালী উপজেলার খরণদ্বীপ জৈষ্ঠ্যপুরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী ভারাম্ভা খালের দক্ষিণ দিকে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি নবজাতক শিশু কান্না করছিল।
এ সময় দুপুর ২ টার দিকে ঘাটে (উত্তরে) জলদাস পাড়ার মুন্নি জলদাস নদীতে স্নান (গোসল) করতে গেলে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে মুন্নি সাঁতরে খাল পার হয়ে দেখতে পান তোয়ালে ও কাপড় মোড়ানো একটি শিশু কান্না করছে।
এ সময় তিনি শিশুটেকে কোলে তুলে নেন এবং ভারাম্ভা ঘাটে নিয়ে আসেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসী ছুটে যান ঘাটে এবং অনেকে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মুন্নি জলদাস নিজেই বাচ্চাটি রাখার সিদ্ধান্ত নিলে এলাকায় একটি বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাসান চৌধুরী ৯৯৯ ফোন করলে বোয়ালখালী থানা পুলিশ পুলিশ বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রী খীসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান এবং বাচ্চাটির সার্বিক পরিস্থিতির খবর নেন। এ সময় তিনি বাচ্চাটির নাম রাখেন বিজয়। শিশুটি সুস্থ্য রয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। মুন্নি জলদাস বলেন, দুপুর ২টার দিকে খালে গোসল করতে গিয়েছিলাম। এসময় খালের ওই পাড়ে একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাই। অবিরাম কাঁদছিলো শিশুটি। সাঁতরে ওই পাড়ে গিয়ে দেখি একটি নবজাতক শিশু তোয়ালে ও কাপড় মোড়ানো। আশপাশে কাউকে দেখতে না পেয়ে বাচ্চাটিকে নিয়ে আসি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাসান চৌধুরী বলেন, নবজাতকটি কে বা কারা রেখে গেছে। দুপুরে জেলে পাড়ার গৃহবধূ মুন্নী জলদাস গোসল করতে গেলে বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে ঘরে নিয়ে আসেন। এটি ছেলে সন্তান। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, অজ্ঞাত নবজাতক শিশুটিকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তী রওফাবাদে সমাজসেবার ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হবে। বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার বলেন, নবজাতক শিশুকে কে বা কারা রেখে গেছেন সেটা জানা যায়নি। সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতক শিশুটি উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, অজ্ঞাত নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নবজাতকটি আপাতত হাসপাতালে থাকবে, পরবর্তীতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ছোটমনি নিবাসে প্রেরণ করা হবে।