ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্বপ্নের মতো একটি সিরিজ পার করল বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ ড্র করার পর ওয়ানডে সিরিজেও ভালো করার সুযোগ ছিল। কিন্ত সেটা হয়নি। উল্টো হোয়াইট ওয়াশ হয় টাইগাররা ওয়ানডে সিরিজে। তবে প্রতিশোধ নিতে বেশি সময় নেয়নি লিটনের দল।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা দিয়েছে বাংলাদেশ। এ যেন মধুর প্রতিশোধ। টানা দুই ম্যাচে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। বাকি ছিল হোয়াইট ওয়াশ করা। সিরিজের তৃতীয় স্বাগতিকদের ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ করল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে জাকের আলির ঝড় আর বল হাতে রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে এই ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুটা ভালই করেছিল। সিরিজে প্রথম খেলতে নামা পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে ৪৪ রান যোগ করেছিলেন লিটন দাশ। কিন্তু ১০ রানের ব্যবধানে পরপর দুই ওভারে ফিরেন দুজন। লিটন করেন ১৩ বলে ১৪ রান আর ইমন করেন ২১ বলে ৩৯ রান। তিনি ৪টি চার এবং ২টি ছক্কা মেরেছেন। তিনে নামা তানজিদ হাসান করেছেন ৯ রান।
এরপর মেহেদী মিরাজ এবং জাকের আলি মিলে যোগ করেনস ৩৭ রান। ২৩ বলে ২৯ রান করা মিরাজ ফিরেন চেইজের বলে। এরপর কেবলই জাকের আলির ঝড়। শেষ দিকে তানজিম সাকিব তাকে কিছুটা সঙ্গ দিতে পেরেছে। ১২ বলে ১৭ রান করে তানজিম ফিরলেও জাকেরকে ফেরাতে পারেনি ক্যারিবীয় বোলাররা। ক্যারিয়ারের সেরা ৭২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জাকের আলি। তার ৪১ বলের ইনিংসে ৩টি চার এবং ৬টি ছক্কার মার ছিল। জাকের আলির ঝড়ে বাংলাদেশের ইনিংস গিয়ে থামে ১৮৯ রানে।
১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন ব্রেন্ডন কিং। পরের ওভারে জাস্টিন গ্রেভসকে ফেরান মেহেদী হাসান। তৃতীয় উইকেটে চার্লস এবং পুরান মিলে ৩৮ রান যোগ করলেও তাদের ভয়ংকর হয়ে উঠতে দেননি মেহেদী হাসান।
১৫ রান করা পুরানকে বোল্ড করে এজুটি ভাঙ্গেন মেহেদী। এরপর রিশাদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ২৭ বলে ৩৩ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলৌ তাকে সফল হতে দেননি তানজিম সাকিব। শেষ পর্যন্ত ২০ বাকি থাকতে ১০৯ রানে অল আউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর তাতেই রচিত হয় বাংলাদেশের ইতিহাস। প্রথমবারের মত ওয়েষ্ট ইন্ডিজে সিরিজ জয়, প্রথমবারের মত হোয়াইট ওয়াশ। আর কি চাই। দুর্দান্তভাবেই যেন সফরটা শেষ করল টাইগাররা। বল হাতে ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ এবং শেখ মেহেদী হাসান। ম্যাচ সেরা জাকের আলি আর সিরিজ সেরা শেখ মেহেদী হাসান।