আওয়ামী লীগসহ ১১ দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে যে রিট মামলা করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিনজন, সেগুলো না চালানোর কথা আদালতকে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী। সেই সঙ্গে গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা প্রশ্নে করা রিট আবেদনটিও ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারীদের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাই কোর্ট বেঞ্চে রিট মামলা দুটি না চালানোর কথা বলেন। আদালত তখন আবেদন দুটি ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দেয়। খবর বিডিনিউজের।
আহসানুল করিম পরে সাংবাদিকদের বলেন, রিটকারীদের নির্দেশনা মোতাবেক রিট দুটি না চালানোর কথা বলেছি। পিটিশন দুটির কার্যকারিতা আর রইল না।
রিট আবেদনকারীদের একজন সারজিস আলম গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গত ১৬ বছর যেভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে, তা আমরা করতে চাই না। আমরা এমনভাবে রিট করব যে পুরো বাংলাদেশের মানুষ সব সময় তার সাক্ষী দেবে। ওই রিটের এডিট থেকে শুরু করে যা কিছু রয়েছে, তা কমপ্লিট (সম্পূর্ণ) করে হয়তো আগামীকাল বা সর্বোচ্চ হলে পরশু দিনের মধ্যে আমরা বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে নিয়ে আসব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম গত সোমবার এ দুই রিট আবেদন করেন। একটি রিটে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত যথাক্রমে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত’ ঘোষণা করা, নির্বাচনের গেজেট বাতিল ঘোষণা করার প্রশ্নে রুল চাওয়া হয়। অপর রিটে আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের বিরুদ্ধে ‘নির্বিচার মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের’ অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলগুলোকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল আবেদনে।
দলগুলো হল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম–এল) (দিলীপ বড়ুয়া), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।