চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন ‘বাংলার সৌরভ’ নামক ট্যাঙ্কার জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সাদিক মিয়া (৬০)। তবে ওই নাবিক আগুনে পুড়ে মারা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের পর নাবিকরা বঙ্গোপসাগরে লাফ দেয়।
এরপর ৪৮ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাকিব মেহবুব ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম কার্যালয়ের মোবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন জাহাজ এমটি বাংলার সৌরভে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের একাধিক টাগবোট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
চট্টগ্রাম বন্দরের রেডিও কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, জানা গেছে, ১১ হাজার ৬০০ টন ক্রুড ওয়েল নিয়ে নোঙরের অপেক্ষায় ছিল ট্যাংকারটি। ট্যাংকারটিতে ক্রুসহ মোট ৫০ জন কর্মরত ছিলেন। চার ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এমটি বাংলার সৌরভ ১৯৮৭ সালে ডেনমার্কে নির্মিত হয়েছিল। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় ট্যাংকার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে পতেঙ্গার বিভিন্ন ডিপোতে নিয়ে আসে।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ এমটি বাংলার জ্যোতিতে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়। কয়েকদিনের মাথায় একই ধরনের রাষ্ট্রায়ত্ত আরেকটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।