নির্ভয়ে পূজা উদযাপন করুন

মহানগর পূজা পরিষদের সাথে মতবিনিময়ে শামীম

| শনিবার , ৫ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, হিন্দু সমপ্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই উৎসব উপলক্ষে আওয়ামী অপশক্তি নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তাই এবারও বিএনপিসহ ছাত্র জনতা তাদের সেই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে। আপনারা নির্ভয়ে নিরাপদে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করুন। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। এটাই বিএনপির রাজনীতি। তাই এবারের পূজায় বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিটি মণ্ডপে ঐক্যবদ্ধভাবে টিম করে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকবে। পূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধি সমন্বয়ে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হবে। আগের চেয়ে এবার আরও বেশি উৎসবমুখর পরিবেশে এই সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব পালিত হবে।

তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি চট্টগ্রামের সর্বস্তরের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। পূজার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশিস ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল। এ সময় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ ধরনের মতবিনিময় সভা করে সহযোগিতা করায় বিএনপি নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, কোনো অপশক্তি যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। পতিত সরকারের দোসররা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু এদেরকে কিছুতেই সফল হতে দেওয়া হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন, ধর্মীয় পরিচয়ে বাংলাদেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সবাই বাংলাদেশি। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে বিভাজনের রাজনীতি। তারা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বিভাজনের মাধ্যমে সব সময় দেশে অস্থিতিশীল করে রাখার চেষ্টা করেছে। হিন্দুদের সবচেয়ে ক্ষতি আওয়ামী লীগই করেছে।

এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি হারুন জামান, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইস্কান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি এডভোকেট চন্দন তালুকদার প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কক্সবাজারে ৭ শতাধিক ট্রলার ঘাটে
পরবর্তী নিবন্ধমালয়েশিয়ায় আরও জনশক্তি পাঠাতে সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি