ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর খবরে ওই দিন একটি বে-আইনি সংঘবদ্ধ জনতা মিছিল সহকারে সিএমপির কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্জ্যারটেক পুলিশ চেকপোস্ট ও ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। ওই ঘটনায় ২০ দিন পর কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এতে অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে কর্ণফুলী থানার (এসআই) মুহাম্মদ নুর ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা ও ওসি মো. জহির হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট কর্ণফুলী থানাধীন আখতারুজ্জামান চত্বর সংলগ্ন মইজ্জ্যারটেক পুলিশ চেকপোস্টে সংঘবদ্ধ জনতা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ও ১৮৬০ সনের একাধিক পেনেল কোড ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে চেকপোস্টে হামলা করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ চালিয়ে লুটপাটের মাধ্যমে সরকারি মালামাল ও যানবাহন চুরি করা হয়েছে। এতে ৪১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার লুণ্ঠন (চোরাই মূল্য) ও ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করেছে আনুমানিক আরো ৫ লক্ষ টাকার।
পরে উদ্ধার করা হয়েছে রানার কোম্পানির একটি হলুদ রঙের বড় ট্রাক, একটি নীল ও হলুদ রঙের কাভার্ড ভ্যান, একটি টাকা কোম্পানির কার্গো ট্রাক, ২০ টি ভাঙা গ্লাসের টুকরো ও একটি স্টীলের পোড়া চেয়ারের অংশ বিশেষ ইত্যাদি।
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। আইনি অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’ গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় শেখ হাসিনার সরকার। পরে ভারতে পালিয়ে যান বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ পাওয়া যায়।