লংগদু উপজেলায় দুজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে রাঙামাটিতে আধাবেলা অবরোধ পালন করেছে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
কর্মসূচি সফল করতে ইউপিডিএফের নেতাকর্মীরা রাঙামাটি–চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি যৌথখামার ও বেতবুনিয়া এলাকা, রাঙামাটি–খাগড়াছড়ি সড়কের সাপছড়ি, কুতুকছড়ি, ঘিলাছড়ি, নানিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়ক ও বাঘাইছড়ির সাজেক ভ্যালি পর্যটন সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এর মধ্যে রাঙামাটি–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাপছড়ি যৌথখামার এলাকায় ও রাঙামাটি–খাগড়াছড়ি সড়কের বেতছড়ি সোনারাম কার্বারি পাড়া (১৮ মাইল) এলাকায় পিকেটিংয়ে সংগঠনটির নারী কর্মীদের সক্রিয়তা দেখা গেছে। তবে সড়ক ও নৌ– উভয়পথে অবরোধ কর্মসূচি থাকলেও নৌ–পথে তেমন প্রভাব পড়েনি। অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি–রাঙামাটি সড়কে বেলা ১২টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করেনি। এদিন সকালে রাঙামাটি–চট্টগ্রাম মহাসড়কের যৌথখামার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় নেতাকর্মীরা। অবরোধে জেলায় বড় ধরণের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে গতকাল দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ রাঙামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা অবরোধ কর্মসূচি ‘সফল’ করায় রাঙামাটির বাস–ট্রাক–লঞ্চ মালিক–শ্রমিক সমিতি, সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী নেতা–কর্মী–সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, অবরোধকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকালে সাপছড়ি যৌথখামার এলাকায় অবরোধকারীরা সড়ক অবরোধ করে ব্যারিকেড দেয়। পরে পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলে যানবাহন স্বাভাবিক করে দিয়েছে। নেতাকর্মীরা তাদের বিভিন্ন দাবি–দাওয়া তুলে স্লোগান দেয়। কোনো অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।