গত বিপিএলে পুরো টুর্নামেন্টে দুটি জয় পেয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে এবারে বেশ ভালই শুরু করেছে চট্টগ্রাম। জয় দিয়ে আসর শুরু করা চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেলেও তৃতীয় ম্যাচে এসে আবার জয়ের ধারায় চট্টগ্রাম। গতকাল দুর্দান্ত ঢাকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রামের বোলারদের দারুন বোলিং এর পর ব্যাট হাতে তানজিদ তামিম এবং নাজিবুল্লাহ জাদরানের দারুন ব্যাটিং চট্টগ্রামকে সহজ জয় পাইয়ে দেয়। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে ২০ ওভারে ঢাকা তোলে ৬ উইকেটে ১৩৮ রান। সে রান টপকে যায় চট্টগ্রাম ১০ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকার শুরুটা ছিল মন্থর। এর মধ্যেই দ্বিতীয় ওভারে তারা হারায় দানুশকা গুনাথিলাকাকে। আল আমিন হোসেনের বল ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে দানুশকার হেলমেটে। যেতে হয় হাসপাতালে। সেখানে ২২টি সেলাই পড়ে তার থুতনিতে। এরপর সাইফ হাসান নেমে দুটি বাউন্ডারির পর আল আমিনকেই উইকেট দিয়ে আসেন বল আকাশে তুলে। ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে ওপরে উঠে এসে দলের সহায় হতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। ৬ বলে শূন্য রান করে ফিরেন তিনি । বিপিএল অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স রস রান আউট হয়ে যান দুটি বাউন্ডারির পর। একপ্রান্তে দীর্ঘক্ষণ থাকা ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ১১ বল খেলে করেন কেবল ৮ রান। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ঢাকা যখন ধুঁকছিল তখন তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসেন গুনাথিলাকার কনকাশন বদলি ক্রুসপুল। পঞ্চম উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তিনি ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে। চাপের মধ্যেও বেশ সাবলিল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন দুজন। তবে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি কেউ। ক্রুসপুল আউট হয়ে যান ৩১ বলে ৪৬ রান করে। পরের ওভারেই ইরফান বিদায় নেন ২৬ বলে ২৭ রান করে। তাদের বিদায়ের পর শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে পারেনি ঢাকা। শেষ ৪ ওভারে আসে মাত্র ২৬ রান। এতে ১৩৮ রানে থামে ঢাকা। চট্টগ্রামের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আল আমিন এবং বিলাল। জবাবে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শুরুটা ভালই করেছিল। যদিও শরীফুলের প্রথম ওভারের চার বল থেকে ১৯ রান আসলেও ওভারের শেষ বলে ফেরান আভিশকাকে। ১২ রান করেন তিনি। নিজের পরের ওভারে ইমরানুজ্জামানকেও ফেরান শরিফুল। তবে চট্টগ্রামকে চাপে পড়তে দেননি তানজিদ তামিম। ৫ ওভারে ৫০ তুলে ফেলে চট্টগ্রাম। শাহাদাতকে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়েন তানজিদ। ৩০ বলে ২২ রান করে শাহাদাত ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি। তবে তানজিদের ব্যাটে ছিল রান। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ফিরেন তানজিদ। ৪০ বলে ৪৯ রান করেন এই ওপেনার। এরপর বাকি কাজটা সারেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ তিন ওভারে যখন প্রয়োজন ২২ রান তখন নিজের হাতের জোর আরেকবার দেখান জাদরান। চাতুরাঙ্গার দুটি বল ফেলেন গ্যালারিতে। এরপর শরিফুলকে উড়িয়ে মারেন মাথার ওপর দিয়ে। পরের বলেই শেষ করে দেন ম্যাচ। ১৯ বলে তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে কাজ শেষ করেন নাজিবউল্লাহ। ঢাকার পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন শরীফুল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের তানজিদ হাসান তামিম।