আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, যারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোট কেন্দ্রে আসতে চান তাদেরকে ভয়–ভীতি দেখানোর জন্যই বিএনপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ।
তিনি বলেন, ভোটাধিকার একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। কারণ দেশের জনগণের সাংবিধানিক চর্চায় বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই।
গতকাল শনিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এসে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অভিযোগ জানান। পরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অভিযোগ জানাতে ইসিতে এসেছিলাম। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে। তারা জানিয়েছে সরকারের নির্বাহী বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে তারা বিষয়টি জানাবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল নাগরিক, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি তারা যাতে গণতন্ত্রের উৎসব এই নির্বাচনকে নিরাপদ রাখার জন্য, ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাতে তারাও যাতে সতর্ক থাকে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করে।
সব ষড়যন্ত্র–ভয় উপেক্ষা করে ৭ জানুয়ারি রোববার গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করবে সেখানে সাধারণ জনগণ ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষদের মধ্যে যে আগ্রহ ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সে কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার উৎসাহ আগ্রহ নিয়েই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন দলের আইন সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, উপ–দফতর সম্পাদক সায়েম খান ও যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারওয়ার।