বান্দরবানে জেলা প্রশাসকের আদেশে লাল রঙের সাইন বোর্ড টাঙানো নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আলীকদমে ইটের ভাটা কার্যক্রম চালানোর দায়ে এফবিএম ইটভাটার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় আনুমানিক ২০ হাজার কাঁচা ইট পানি দিয়ে ধ্বংস এবং চুল্লিতে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।
আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করেন ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবেদ মো. সোয়াইব বলেন, “২০১৩ সালের ইটভাটা আইনের লঙ্ঘন করায় এসিল্যান্ডের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ফায়ার সার্ভিরে সাহায্যে পানি দিয়ে চুল্লি নিভানো হয়েছে। একই সাথে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।”
অভিযুক্ত এফবিএম ইটভাটার মালিক শওকত তালুদকার হাইকোর্ট থেকে একটি আদেশ পেয়ে ইটভাটার কার্যক্রম চালু করেছিলেন বলে জানান।
তিনি জানান, এ সংক্রান্ত কপি জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ লঙ্ঘন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল এফবিএম ইটের ভাটায়। গত বছর জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। টাঙানো হয় লাল সাইনবোর্ড। সম্প্রতি তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটভাটার কার্যক্রম শুরু করে।
এ সংক্রান্ত আইনে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কোনো জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করতে পারবেন না’। এ আইনের ৪ ধারায় ‘জেলা প্রশাসকের নিকট হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে কোনো ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করতে পারবেন না’ বলে উল্লেখ থাকলেও ইটভাটার মালিক লাইসেন্স গ্রহণ করেননি। উপরন্ত আইন অমান্য করে ‘কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা হতে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল ব্যবহার’ করা হচ্ছে। গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করে ইটের কাঁচামাল পরিবহন ও রিজার্ভ এলাকার কাছাকাটি ইটভাটা স্থাপন করে কয়লার পরিবর্তে লাকড়ি ব্যবহার করা হচ্ছিল।