মধ্যরাতে পুলিশ-বিজিবির পাহারায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করেছে।
বিএনপি-জামাতের অবরোধ কর্মসূচিতে ২য় দিন বুধবার রাতে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় দিকে প্রায় স্বাভাবিক দিনের মতো গাড়ি চলাচল করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারা দেওয়া যাত্রীবাহী বাসগুলোর মধ্যে গ্রীন লাইন, শ্যামলী ও বাঁধন পরিবহনের বাস ছিল।
যাত্রীবাহী বাস পার করার এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পেট্রোলবোমা হামলাসহ ভাঙচুর থেকে রক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় যাত্রীবাহী যান পারাপারের ব্যবস্থা নেন জেলা প্রশাসক। তাঁরা ৫টি বাস সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে গ্রহণ করেন। এরপর গাড়িগুলোকে সীতাকুণ্ডের সীমানা বড় দারোগাহাট ওজন স্কেল এলাকা পার করে দেন।
তিনি আরো বলেন, বড় দারোগাহাটে আগেভাগে উপস্থিত থাকা মিরসরাই উপজেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে তিনি বাসগুলো হস্তান্তর করেন। ওই ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদের উপজেলা পার করে ফেনী প্রশাসনের হাতে তুলে দেবেন। এভাবে বাসগুলো ঢাকায় পৌঁছাবে।
বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার সিংহ বলেন, তাঁরা ফৌজদারহাট এলাকা থেকে বাসগুলো গ্রহণ করে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িকে বুঝিয়ে দেন। যাত্রীদের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়, সে জন্য গাড়িগুলোকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।