২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করবে পাকিস্তান। তাই স্বাগতিক হিসেবে অবধারিতভাবেই টুর্নামেন্টে থাকবে তারা। বাকি সাতটি দল উঠে আসবে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৭ দল জায়গা করে নেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। এমনটাই ইএসপি এনক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন আইসিসির এক মুখপাত্র। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগামী আসরের বাছাই প্রক্রিয়া ঠিক করা হয়েছিল ২০২১ সালেই। যখন ২০২৪ থেকে ২০৩১ পর্যন্ত চক্রে টুর্নামেন্টটি আবারও আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার মানদন্ড সম্পর্কে অবগত ছিল না অনেক দলই। তারা এখন জেনে বেশ অবাকই হয়েছে। মূলত বিষয়টি সামনে উঠে আসে গত শনিবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সংবাদ সম্মেলনে। সাকিব বলেছিলেন, ‘র্যাঙ্কিংয়ে আটের ভেতর থাকতে হবে যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হয়। সে জায়গাটা থেকে এখনও তিনটা ম্যাচ আছে। যদিও আমাদের জন্য এরকম পরিস্থিতিতে কামব্যাক করাটা কঠিন।’ এর আগে ২০১৩ ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলেছিল র্যাংকিংয়ের সেরা আট দল (নির্দিষ্ট সময়ের আগ পর্যন্ত)। কিন্তু আগামী আসরের জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে সেই নিয়মে। যা ধারণার বাইরে ছিল বিশ্বকাপ খেলতে আসা ও বিশ্বকাপ না খেলা বেশ কয়েকটি দেশের। তাই স্বাভাবিকভাবেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না একবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বাংলাদেশের জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করাটা এখন কঠিনই বলা যায়। কেননা বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে নয়ে আছে টাইগাররা। পয়েন্ট টেবিলে উন্নতি করতে হলে বাকি তিন ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। এদিকে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের সবশেষ আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ডে। সেবার ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছিল ভারত।