কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মাণাধীন একটি ভবনে চোর সন্দেহে মহিউদ্দিন (৩০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই ভবনের ঠিকাদারের নৈশপ্রহরী মিজানুর রহমানকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত মহিউদ্দিন লালমনিরহাটের সৈয়দনগর এলাকার বাসিন্দা।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মহিউদ্দিনকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান। মিজান টেকনাফের হ্নীলা এলাকার জাফর আলমের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল দিবাগত রাতে
কক্সবাজার শহরের বাহারছড়াস্থ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে চুরির অভিযোগে মহিউদ্দিনকে আটকের পর হাত–পা বেঁধে রাতভর মারধর করেন ওই ভবনের নৈশপ্রহরী মিজানুর রহমান সহ কয়েকজন। পরদিন ৩ এপ্রিল সকালে তাকে মুমুর্ষূ অবস্থায় রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হলে এক
রিকশাচালক ওই যুবককে সেখান থেকে উদ্ধার করে শহরের গাড়ির মাঠ এলাকায় এক ভাঙারি দোকানে রেখে আসেন। ভাঙারি মালামাল কুড়িয়ে বিক্রি করাই ছিল ওই যুবকের পেশা। পরে স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ীরা আহত মহিউদ্দিনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ এপ্রিল রাতে তিনি মারা যান।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত যুবকের কোনও স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফলে পুলিশ বাদী হয়েই ঘটনার ব্যাপারে মামলা রুজু করেছে।
কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবুল মনজুর জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিস কম্পাউন্ডের ভেতর নতুন একটি ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে টার্ন বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গ্রেপ্তার মিজানুর সেই টার্ন বিল্ডার্সের নিয়োগকৃত নৈশপ্রহরী। এ ঘটনায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কেউ জড়িত নয়।
