চবির পরিসংখ্যান বিভাগের ২০০৬-০৭ সেশনের শিক্ষার্থী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পার করেছেন ১৭ বসন্ত।
গত ৫-৭ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়া বেশিরভাগ শিক্ষকই ছাত্রলীগের এ নেতার চেয়ে বয়স এবং ব্যাচের দিক থেকে জুনিয়র। এতকিছুর পরও তিনি এখনো নিজেকে শিক্ষার্থী হিসেবেই পরিচয় দিতে পছন্দ করেন।
তিনি থাকেন চবির শাহ আমানত হলের তৃতীয় তলায় ৩১১ নম্বর কক্ষে। তিনজনের আসন আপাতত একাই দখল করে আছেন ছাত্রলীগের এ নেতা।
শুধু তাই নয়, কক্ষের দরজায় বড় করে লেখা আছে- ‘রেজাউল হক রুবেল, সভাপতি, চবি ছাত্রলীগ’। এমন বিলাসী জীবনযাপনের আলোচনা অনেক আগের। তবে নতুন আলোচনার বিষয়টি হলো সম্প্রতি একটি ছবিতে দেখা গেছে রেজাউল হক রুবেলের পা টিপছেন শাখা ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ ও উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিউল ইসলাম।
এ সময় রুবেল মোবাইল ফোনে টিকটক দেখছিলেন, আর অনুসারীদের দিয়ে নিজের পা টিপাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যে।
নিয়াজ আবেদিন পাঠান নামে একজন ফেসবুকে ছবিটি দিয়ে লিখেছেন- “যোগ্যতার চেয়ে বেশি কিছু পেয়ে গেলে হয়তো এমনি হয়। আমরা গর্বিত এমন সভাপতি পেয়ে”। মূহুর্তেই ছবিটা ভাইরাল হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এমন দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, “এগুলো নতুন নয়৷ ছাত্রলীগ সভাপতি বিভিন্ন সময় তার কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। তবুও তিনি নিজেকে শোধরাননি কখনো। তাছাড়া কর্মীদের বেশিরভাগ তার ৮/১০ বছরের ছোট, তাহলে এমন কাজ তো করানোই স্বাভাবিক। নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা না থাকায় এরকম সেশন গ্যাপ তৈরি হয়েছে। কেউই ছাত্র থাকা অবস্থায় নেতৃত্বের সুযোগ পান না। তাই ছাত্রলীগের অনুসারীরা ধরেই নিয়েছেন নেতৃত্বে আসতে হলে ক্যাম্পাসে ৮-১০ বছর থাকতে হবে কমপক্ষে। আমাদের এ জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আনা উচিত।”
এ বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই কেউই তাকে মোবাইল ফোনে পাচ্ছেন না।