১৯৫২ সালো ৩১ জানুয়ারি মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঢাকা জেলা বার লাইব্রেরি হলে সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদের সভায় অবিলম্বে রাজবন্দী শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য বন্দীর মুক্তি ও নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। ১০ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ রহমতুল্লাহ ক্লাবে কেন্দ্রীয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের সভায়ও শেখ মুজিবের মুক্তির দাবি জানিয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিন আহম্মদ রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ আমরণ অনশন শুরু করেন। তখন অসুস্থতার কারণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয় তাঁদের।
শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিনের আশুমুক্তির জন্য আবেদনপত্র পেশ করেছেন। আবেদনপত্রে মওলানা ভাসানী বিশিষ্ট ছাত্রনেতাসহ বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকরা সই করেন। মানবতার নামে শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিনের মুক্তির আবেদন জানিয়ে মওলানা ভাসানী একটি পৃথক বিবৃতিও দেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রাজবন্দী মুক্তি কমিটির সভায় শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে প্রস্তাব আনা হয়।
মওলানা ভাসানী ২৩ ফেব্রুয়ারি এক তারবার্তায় শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিন আহম্মদের প্রতি অনশন ভঙ্গ করার আবেদন জানিয়ে বলেন, তাদের বেঁচে থাকার প্রয়োজন আছে।