চন্দনাইশের খানহাট–ধোপাছড়ি–বান্দরবান সড়ক থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী মো. জালাল উদ্দীন (৪০) পাহাড়ি সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণের আড়াইদিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধার হয়নি। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মোটর সাইকেলযোগে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের খালার বাড়ি থেকে ফেরার পথে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে। এ ব্যাপারে গত শনিবার রাতে চন্দনাইশ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, অপহরণকারীরা বার বার স্থান পরিবর্তন করছে। অপহৃত জালাল উদ্দীনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এ দিকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণকারীরা জালালের পরিবারের নিকট বার বার ফোন দিচ্ছে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। অপহরণকারীদের দাবিকৃত টাকা জোগাড় করতে না পেরে চরম উৎকণ্ঠা ও দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে তার স্ত্রী ও ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া একমাত্র মেয়ের।
উল্লেখ্য, পটিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত আবদুল জলিলের পুত্র চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র আউটডোর অ্যাসিসটেন্ট মো. জালাল উদ্দীন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চন্দনাইশ উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ছাপাছড়ি এলাকার খালার বাড়ি থেকে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলযোগে ফেরার পথে গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খানহাট–ধোপাছড়ি–বান্দরবান সড়ক থেকে অপহৃত হয়। পরে জানা যায়, মুক্তিপণের দাবিতে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে।