ফোন কলের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে ছেলেকে খুন করা হয়। থানায় গেলে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মামলা নেওয়া হয়নি। পরে আদালতের নির্দেশে মামলা নিলেও আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি একজন আসামিও। বাকলিয়ার রসুলবাগ এ ব্লকের বাসিন্দা ইমরান হত্যা মামলার দ্রুত বিচার ও আসামিদের গ্রেপ্তার চেয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইমরানের মা আছিয়া বেগম।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাকলিয়া সরকারি স্কুলের সামনে থেকে ইমরানের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আছিয়া বেগম বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে একের পর এক কল দিয়ে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়। মোট ১৬ টি কল দেওয়া হয়। বিকালে আমার ছেলের টাকা দিয়ে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁয় খাবারও খান আসামিরা। একপর্যায়ে বাসায় ফিরলেও রাত ৯ টার দিকে তাকে আবারও ডেকে নেওয়া হয় এবং হত্যা করা হয়। পরে হত্যাকারীদের একজন তা ফোন দিয়ে জানায় এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে বলে। ফোনে জানায় যে, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যায় ইমরান। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি অর্ধ-উলঙ্গ হয়ে আমার ছেলে স্কুলের বাইরে পড়ে আছে। স্কুলের ভেতরে হত্যা করে লাশ বাইরে ফেলা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করতে গেলে তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ মামলা নেননি। উল্টা সারা রাত বসিয়ে রাখা হয়। ঘটনার পর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেননি। কেন পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বুঝতে পারছি না। এ সুযোগে আসামিরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার একটাই আবেদন, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুন। সংবাদ সম্মেলনে নিহত ইমরানের ছোট বোন জেসমিন আখতার, আনোয়ারা উপজেলার দুই ইউপি সদস্য মো. আবু জাফর চৌধুরী মিজান ও শহীদ আহমেদ চৌধুরী এবং আইনজীবী ফয়েজ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী ফয়েজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রথমদিকে থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আদালতের শরাণাপন্ন হই। আদালত থানা পুলিশকে মামলা নিতে নির্দেশ দেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন, ডিসি রোডের বাসিন্দা মো. নাজিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর ও খোকন।
