সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো, সড়কগুলোতে কাঙ্ক্ষিত শৃঙ্খলা এখন পর্যন্ত ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিদিনের সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি এই করোনা পরিস্থিতিতেও মহাসড়কে প্রাণহানি থেমে নেই। এই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো একশ্রেণির চালকের বেপরোয়া গতি। এতে মহাসড়কগুলো হয়ে উঠছে মৃত্যুফাঁদ।
তাদের বেপরোয়া গতি রোধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের প্রতিও লক্ষ রাখতে হবে। যেমন লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ করা, দক্ষ চালকদেরই গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া এবং তাদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল নিষিদ্ধ করা। মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর জন্য হেলমেট ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ, বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়ানো, পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করা, ঝুঁকিপূর্ণ বা ব্যস্ত মহাসড়গুলােতে স্বল্প গতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রয়োজনে রেল ও নৌপথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়কপথের ওপর চাপ কমানো ইত্যাদি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বিনীত অনুরোধ জানাই।
মুহাম্মদ আবু হানিফ
চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম।